ইসকনের সাতটি উদ্দেশ্য
১৯৬৬ সালের জুলাই মাসে শ্রীল প্রভুপাদ ইসকন প্রতিষ্ঠা করেন। সংস্থার নথিতে ইসকনের সাতটি উদ্দেশ্য উল্লেখ করা হয়েছে:
(১) সুসংবদ্ধভাবে মানব-সমাজে ভগবৎ-তত্ত্বজ্ঞান প্রচার করা এবং সমস্ত মানুষকে পারমার্থিক জীবন যাপনে অনুপ্রাণিত হতে শিক্ষা দেওয়া, যার ফলে জীবনের যথার্থ উদ্দেশ্য সম্বন্ধে বিভ্রান্তি প্রতিহত হবে এবং জগতে যথার্থ সাম্য এবং শান্তি প্রতিষ্ঠিত হবে।
(২) ভগবদ্গীতা এবং শ্রীমদ্ভাগবতের অনুসরণে কৃষ্ণভাবনার অমৃত প্রচার করা।
(৩) এই সংস্থার সমস্ত সদস্যদের পরস্পরের কাছে টেনে আনা এবং শ্রীকৃষ্ণের কাছে টেনে আনা, এবং এইভাবে প্রতিটি সদস্য-চিত্তে, এমন কি প্রতিটি মানুষের চিত্তে, সেই ভাবনার উদয় করানো, যাতে সে উপলব্ধি করতে পারে যে, প্রতিটি জীবই হচ্ছে পরমেশ্বর ভগবান শ্রীকৃষ্ণের বিভিন্ন অংশ।
(৪) শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভু প্রবর্তিত সমবেতভাবে ভগবানের দিব্য নাম কীর্তন করার যে সংকীর্তন আন্দোলন, সেই সম্বন্ধে সকলকে শিক্ষা দেওয়া এবং অনুপ্রাণিত করা।
(৫) সংস্থার সদস্যদের জন্য এবং সমস্ত সমাজের জন্য একটি পবিত্র স্থান নির্মাণ করা, যেখানে ভগবান শ্রীকৃষ্ণ তাঁর নিত্য লীলাবিলাস করবেন, এবং পরমেশ্বর ভগবান শ্রীকৃষ্ণের উদ্দেশ্যে তা নিবেদিত হবে।
(৬) একটি সরল এবং অত্যন্ত স্বাভাবিক জীবনধারা সম্বন্ধে শিক্ষা দেওয়ার জন্য সদস্যদের পরস্পরের কাছে টেনে আনা।
(৭) পূর্বোল্লিখিত উদ্দেশ্যগুলি সাধন করবার জন্য সাময়িক পত্রিকা, গ্রন্থ এবং অন্যান্য লেখা প্রকাশ এবং বিতরণ করা।
উৎস: www.iskcon.org